হেলমেটের মামলা

সাকিব এর বাবা সাকিব কে ভাল রেজাল্ট করার কারনে একটা FZS V3 মোটর বাইক কিনে দেন। সেই খুশিতে সাকিব তার আরো দুই বন্ধু তামিম ও হাবিবুল বাশার কে সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। ভালই ঘুরছিল কিন্তু হঠাৎ করে সার্জেন্ট সাহেব তাদের বাইক আটকে দেয়। তাদের কারো মাথাতেই হেলমেট ছিল না।

সাকিব কে পুলিশ হেলমেট না থাকার কারন জিজ্ঞেস করেন এবং জানান ৩ জন নিয়ে বাইক চালানো ট্রাফিক আইন বিরুদ্ধ। সাকিব তিনজনের বিষয় টা মেনে নিলেও হেলমেট এর বিষয় টা নিয়ে বিরোধিতা করে। বলে হেলমেট না পরলে তো আমার ক্ষতি হবে, এতে তো আর কারো কিছু হবে না তাহলে কেন আমি হেলমেট না পরার জন্য পুলিশ মামলা দিবে?

সার্জেট সাহেব তখন তাকে বুঝিয়ে বললেন কেন হেলমেট না পরলে পুলিশ মামলা দেয়।

শুধু রাজস্ব আদায়ের জন্য পুলিশ হেলমেটের মামলা দেয় না। এর পেছনে রয়েছে অন্য এক আসল কারন।

একজন ব্যাক্তির পেছনে সরকার অনেক টাকা খরচ করে। প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত একজন ছাত্রের পেছনে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীপিছু সরকারের বার্ষিক ব্যয় সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি। এছাড়া ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপিছু সরকারের বার্ষিক ব্যয় ছিল ২ লাখ ১২ হাজার টাকার মতো।

হেলমেটের মামলা

এছাড়া চিকিৎসার পেছনেও প্রতিটা নাগরিকের পেছনে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে।

কেন করে এত টাকা ইনভেস্ট? এর কারন হলে সুনাগরিক তৈরি করা। যেন তারা মানুষ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে জীবনের ঝুকি থাকে। এত টাকা ইনভেস্ট করে তার থেকে যদি কোন সার্ভিস না পাওয়া যায় সে যদি অকালে প্রান হাড়ায় তাহলে তো এত বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা বৃথা হয়ে যাবে। একারনেই সরকার পানিশমেন্ট হিসেবে জরিমানা করে।

সাকিবের অন্য দুই বন্ধু তামিম ও হাবিবুল বাশার এখথা শুনে হাততালি দিল এবং সার্জেন্ট সাহেব কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলল এ তথ্য তারা নতুন জানতে পারল। আপনারাও নতুন জানলে শেয়ার করে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।