১. পন্য আমদানি করার পূর্বে প্রথমেই
আপনি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কি ধরনের পন্য
বিদেশ থেকে আমদানি করতে চাচ্ছেন । উক্ত পন্যটি আমদানি করা লাভজনক কি না ? বাংলাদেশ এবং উক্ত দেশে উক্ত পন্যটি বৈধ কি না ?
আপনি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কি ধরনের পন্য
বিদেশ থেকে আমদানি করতে চাচ্ছেন । উক্ত পন্যটি আমদানি করা লাভজনক কি না ? বাংলাদেশ এবং উক্ত দেশে উক্ত পন্যটি বৈধ কি না ?
২. সব কিছু যদি আপনার অনুকূলে থাকে
তবে এবার প্রথমেই আপনাকে আমদানী লাইসেন্স করতে হবে ।
তবে এবার প্রথমেই আপনাকে আমদানী লাইসেন্স করতে হবে ।
তো চলুন প্রথমেই দেখে নেই আমদানী
লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র লাগবেঃ
লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র লাগবেঃ
ক) ট্রেড লাইসেন্স;
খ) চেম্বার অথবা স্বীকৃত ট্রেড
অ্যাসোসিয়েশনের বৈধ সদস্যতা সনদপত্র;
অ্যাসোসিয়েশনের বৈধ সদস্যতা সনদপত্র;
গ) TIN সার্টিফিকেট;
ঘ) ব্যাংক সচ্ছলতা সনদ ;
ঙ) পাসফোর্ট সাইজের ছবি
এগুলো থাকলে আপনি আমদানী ও রপ্তানী
নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর থেকে আমদানী লাইসেন্স করে নিতে পারবেন ।
নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর থেকে আমদানী লাইসেন্স করে নিতে পারবেন ।
৩. আমদানী লাইসেন্স পাওয়ার পরে এবার আপনাকে
রপ্তানি কারক দেশ থেকে একজন বিক্রেতা খুজতে হবে। নিজে নিজে কিছু প্রতিষ্ঠান
সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিন। যেহেতু আপনি দূরে থেকে পন্য ক্রয়ের ব্যাপারটি পরিচালনা
করবেন, সেহেতু আগে থেকেই নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানটির
অর্থনীতি এবং পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। সবচেয়ে সহজ উপায়
অনলাইনে সার্চ করা।
রপ্তানি কারক দেশ থেকে একজন বিক্রেতা খুজতে হবে। নিজে নিজে কিছু প্রতিষ্ঠান
সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিন। যেহেতু আপনি দূরে থেকে পন্য ক্রয়ের ব্যাপারটি পরিচালনা
করবেন, সেহেতু আগে থেকেই নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানটির
অর্থনীতি এবং পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। সবচেয়ে সহজ উপায়
অনলাইনে সার্চ করা।
এছাড়া বর্তমানে যে সমস্ত ব্যক্তি
বিদেশ থেকে পন্য আমদানি করছে তাদের থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করুন ।
বিদেশ থেকে পন্য আমদানি করছে তাদের থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করুন ।
আপনার পছন্দ মাফিক বিক্রেতা এবং
সরবরাহকারী পেলে তার থেকে আপনার পছন্দ মাফিক পন্য কেনার জন্য অর্ডার করতে হবে।
সরবরাহকারী পেলে তার থেকে আপনার পছন্দ মাফিক পন্য কেনার জন্য অর্ডার করতে হবে।
৪. বিক্রেতা আপনার অর্ডার অনুসারে
আপনাকে একটি প্রফরমা ইনভয়েস পাঠাবে ।
উক্ত ইনভয়েসে পন্যের পরিমান, মূল্য এবং সরবরাহের তারিখ ইত্যাদি তথ্য থাকবে।
আপনাকে একটি প্রফরমা ইনভয়েস পাঠাবে ।
উক্ত ইনভয়েসে পন্যের পরিমান, মূল্য এবং সরবরাহের তারিখ ইত্যাদি তথ্য থাকবে।
৫. উক্ত বিক্রেতা পন্য পাঠানোর আগে
হয়ত আপনার থেকে LC চাইতে পারে । LC
হল বিক্রেতার জন্য আর্থিক নিরাপত্তা কবজ । একজন বিদেশি বিক্রেতা
আপনাকে কখনো দেখে নাই এবং সে আপনার সাথে আগে লেনদেনো করে নাই তাই সে এটা নিশ্চিত
হতে চাই জেন সে যদি আপনাকে পন্য পাঠিয়ে দেয় এর পরে যদি আপনি টাকা না দেন তবে সে
জেন উক্ত টাকা ব্যংক থেকে তুলতে পারে ।
হয়ত আপনার থেকে LC চাইতে পারে । LC
হল বিক্রেতার জন্য আর্থিক নিরাপত্তা কবজ । একজন বিদেশি বিক্রেতা
আপনাকে কখনো দেখে নাই এবং সে আপনার সাথে আগে লেনদেনো করে নাই তাই সে এটা নিশ্চিত
হতে চাই জেন সে যদি আপনাকে পন্য পাঠিয়ে দেয় এর পরে যদি আপনি টাকা না দেন তবে সে
জেন উক্ত টাকা ব্যংক থেকে তুলতে পারে ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে LC হল আপনার প্রতিনিধি হিসাবে ব্যংক বিক্রেতাকে এই নিশ্চয়তা যে
যদি আপনি টাকা না ও দেন তবে ব্যংক উক্ত টাকা পরিশোধ করবে । তাই বিক্রেতা হয়ত আপনার
থেকে LC চাইতে পারে । LC চাইলে আপনাকে
একটি ব্যংক থেকে বিক্রেতার নামে একটি LC খুলতে হবে ।
যদি আপনি টাকা না ও দেন তবে ব্যংক উক্ত টাকা পরিশোধ করবে । তাই বিক্রেতা হয়ত আপনার
থেকে LC চাইতে পারে । LC চাইলে আপনাকে
একটি ব্যংক থেকে বিক্রেতার নামে একটি LC খুলতে হবে ।
৬. এরপর LC কাগজ বিক্রেতার কাছে পাঠাতে হবে । আর LC পেলেই বিক্রেতা আপনার পন্য উৎপাদন এবং সরবরাহের ব্যবস্থা করবে ।
৭. বিক্রেতা পন্য ট্রাকে বা জাহাজে
বা বিমানে লোড করার পরে উক্ত পরিবহণ প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রেতাকে একটি বহনপত্র বা
চালানি রশিদ প্রদান করবে । উক্ত বহনপত্র বা চালানি রশিদ বিক্রেতা আপনাকে মেইল করে
পাঠিয়ে দিবে ।
বা বিমানে লোড করার পরে উক্ত পরিবহণ প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রেতাকে একটি বহনপত্র বা
চালানি রশিদ প্রদান করবে । উক্ত বহনপত্র বা চালানি রশিদ বিক্রেতা আপনাকে মেইল করে
পাঠিয়ে দিবে ।
৮. পন্য বাংলাদেশে পৌছলে আপনাকে
আমদানি লাইসেন্স, চালানি রশিদ এবং
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের কাগজপত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র সাথে নিয়ে কাস্টমস থেকে
পন্য ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে হবে ।
আমদানি লাইসেন্স, চালানি রশিদ এবং
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের কাগজপত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র সাথে নিয়ে কাস্টমস থেকে
পন্য ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে হবে ।
Discussion about this post