আজকে আইনের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইনের প্রকারভেদ –
আইনকে অনেক ভাগে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে দুটি ভাগ অন্যতম। সেটা হলো-
১) মূল আইন (Substantive Law) এবং
২) পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law)।
মানুষের অধিকার ও কর্তব্য সংক্রান্ত বিষয়ে মূল আইন এবং আদালতের মাধ্যম কার্যকরীকরণের পদ্ধতি বা উপায় হিসেবে পদ্ধতিগত আইনকে চিহ্নিত করা হয়।
আরো সহজভাবে বলা যায়, মূল আইন হলো এমন একটি আইন যা জনগণের অধিকার সৃষ্টি করে, কর্তব্য ও দায়িত্বের প্রতি দিক নির্দেশ করে। যেমনঃ চুক্তি আইন, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন প্রভৃতি। আর পদ্ধতিগত আইন হলো বাস্তবভিত্তিক বা মূল আইনের অণুশীলন প্রণালী সম্বলিত নির্দেশনা। যেমনঃ সাক্ষ্য আইন, দেওয়ানী আইন।
মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইনের পার্থক্য
সংজ্ঞাগত পার্থক্য ছাড়াও মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইনের মধ্যে যেসব পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়, সেগুলোর মধ্যে সবিশেষ নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
১) মূল আইন মানুষের ব্যষ্টিক ও সমষ্টিক অধিকার ও কর্তব্যের উন্মেষ ঘটায়। পক্ষান্তরে, পদ্ধতিগত আইন মূল আইনকে বাস্তবে রূপ দেয়ার উপায় ও উপাদানের দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে।
২) মূল আইন মানুষের অধিকার নির্ণয় করে। পক্ষান্তরে পদ্ধতিগত আইন সে অধিকার প্রয়োগ করে।
৩) মূল আইন পদ্ধতিগত আইন ব্যতীত প্রায় অকার্যকর। অনুরূপ পদ্ধতিগত আইন মূল আইন ব্যতীত অপ্রয়োজনীয়।
বস্তুত এজন্য উভয় আইন পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত। তবে অনেক ক্ষেত্রে মূল আইন পদ্ধতিগত এবং পদ্ধতিগত আইন মূল আইনের দিকনির্দেশনা দান করে থাকে।
দেওয়ানী কার্যবিধি সম্পূর্ণ কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত কিনা তা অবগত হতে হলে দেওয়ানী কার্যবিধিতে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কে জানতে হবে, তবে সে সম্পর্কে মন্তব্য বা অভিমত ব্যক্ত করা সম্ভব।
Discussion about this post