ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৪ ধারা অনুযায়ী জনসাধারণ দণ্ডবিধির কতিপয় অপরাধ সম্পর্কে পুলিশকে অথবা ম্যাজিস্ট্রেট কে সংবাদ দিতে বাধ্য।
নিচের ধারা গুলোর অপরাধ হলে হলে হবার সম্ভাবনা দেখলে একজন নাগরিক অবশ্যই সংবাদ প্রদান করবেন-
দণ্ডবিধির ১২১, ১২১ক, ১২২, ১২৩, ১২৪, ১২৪ক. ১২৫, ১২৬, ১৩০, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫, ১৪৭, ১৪৮, ৩০২, ৩০৩, ৩০৪, ৩৮২, ৩৯২, ৩৯৩, ৩৯৪, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৭, ৩৯৮, ৩৯৯, ৪০২, ৪৩৫, ৪৩৬, ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫৬, ৪৫৭, ৪৫৮, ৪৫৯ এবং ৪৬০ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ করেছে অথবা করার ইচ্ছা আছে বলিয়া জানিতে পারিলে যেকোন লোক, যুক্তিসংগত কারন না থাকিলে এইরূপ যুক্তিসংগত কারণের অস্তিত্ব প্রমাণ করিবার দায়িত্ব তাহার, অবিলম্বে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ অফিসারকে এইরূপ অপরাধ সংঘটনের অথবা অপরাধ সংঘটিত করিবার অভিপ্রায় সম্পর্কে তথ্য দিবেন।
বাংলাদেশের বাইরে সংগঠিত কিন্তু বাংলাদেশে বিচার যোগ্য এমন অপরাধের তথ্য দিতেও জনগন বাধ্য।
আলোচনা ও প্রয়োগ
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৪ ধারার এই বিধানাবলী প্রণয়নের উদ্দেশ্য হলো অপরাধ সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া ব্যক্তিদের দ্বারা অপরাধীদের শাস্তি দেয়া; অপরাধ দমন করা নয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বোক্ত বিধানাবলী ব্যবহার করা উচিৎ যাতে বিধানাবলী প্রণয়নে আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ না হয়। এই ধারায় উল্লেখিত নয় এমন অপরাধ সম্পর্কে তথ্য দেয়ার কোন বাধ্যবাধকতা এই ধারায় করা হয় নাই।
বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধকেও এই ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের কাছে কোন উৎস থেকে একবার সংবাদ পৌছানো গেলে সংবাদদাতার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়।
এই ধারায় সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে তথ্য না দেয়া দন্ডবিধির ১১৮, ১৭৬ ও ২০২ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরো পড়ুন – আইনের ধারা মনে রাখার সহজ উপায়
Discussion about this post