দলিল সংশোধন মামলা- প্রতারণার মাধ্যমে অথবা পক্ষসমূহের পারস্পরিক ভুলের দরুন বা অপর কোন লিখিত দলিল সত্যিকার ভাবে তাদের উদ্দেশ্য ব্যক্ত না করলে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩১ ধারার আওতাধীন মামলা দায়ের করা যায় এবং আদালত যদি দেখতে পায় যে দলিলটি সত্যিই উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে তখন এই ধারা বলে আদালত দলিল সংশোধনের ডিক্রি মঞ্জুর করতে পারে।
দলিল বাতিলের ডিক্রি দেওয়ার পর আদালতকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৯ ধারার বিধান মতে ডিক্রির একটি কপি উপ নিবন্ধকের বা জেলা নিবন্ধকের নিকট বালাম বইতে লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করতে হয়।
কিন্তু দলিল সংশোধনের ডিক্রি হলে বালাম বইতে লিপিবদ্ধ করার কোন বিধান সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩১ ধারায় রাখা হয় নাই। কোন পক্ষ ইচ্ছা করলে ডিগ্রীর অনুরূপ নিবন্ধন আইনের ২৯(২) ধারামতে নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট উপনিবন্ধক বা জেলা নিবন্ধকের নিকট উপস্থাপন করতে পারেন। তবেই নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়।
এ বিষয়ে মহামান্য আদালতের অভিমত এই যে, যে ক্ষেত্রে একটি দলিল সংশোধিত হয় সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশই যথেষ্ট এবং নতুন দলিল মুসাবিদা করার প্রয়োজন নাই। যে দলিল সংশোধিত হয়েছে তার ওপর আদালতের আদেশের অনুলোপি পৃষ্ঠাঙ্কন করতে হবে। (White vs. White 42 L.J. Ch. 288)
দলিল সংশোধন মামলা তামাদি: ভুল অথবা প্রতারণা সম্পর্কে জ্ঞাত হবার তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে দলিল সংশোধনের মামলা দায়ের করতে হবে।
ধারা: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৫ ধারা অনুযায়ী।
কোর্ট ফি: এডভোলেরম।
তামাদি: ৩ বছর।