৫২৬ থেকে ৫২৮ ধারা দায়রা আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের অধীনস্ত কোন ফৌজদারী আদালত থেকে অন্যকোন ফৌজদারী আদালতে মামলা হস্তান্তর করা নিয়ে আলোচনা করে।

হাইকোর্ট বিভাগ ও দায়রা আদালত-

(১) নিজ উদ্যোগে, বা

(২) নিম্ন আদালতের রিপোর্টের ভিত্তিতে, বা

(৩) কোন পক্ষের আবেদনক্রমে কার্য করতে পারেন।

মামলা হস্তান্তরের আবেদন করতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ৫২৬ ধারার (১) উপধারায় (ক) থেকে (ঙ) দফায় এবং ৫২৬খ ধারায় উল্লেখিত ৫টি কারণের মধ্যে এক বা একাধিক কারণ থাকতে হবে। আবেদনপত্রটি হলফনামা দ্বারা সমর্থিত হতে হবে; এবং অপরপক্ষ ও সরকারী কৌশুলী হস্তান্তরের কারণসহ শুনানীর পূর্বে নোটিশ পাওয়ার অধিকারী। হলফনামা দ্বারা অসমর্থিত কোন দরখাস্ত গ্রহণ করা যাবে না। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মিথ্যা ও বিরক্তিকর বিবৃতি করা থেকে নিরুৎসাহিত করা। একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিও হলফনামা দায়ের করতে পারেন (23 Cr.LJ 399)।

সংশোধিত ৫২৬খ ধারাও মূলতবি আবশ্যক করার বিধান দিয়ে থাকে যদি কোন পক্ষ হস্তান্তরের জন্য দায়রা জজের নিকট আবেদন করতে চায়। যেই মুহূর্ত থেকে আদেশ দেয়া হয়েছে সেই মুহূর্ত থেকে হস্তান্তর কার্যকর হয়; যে মুহূর্তে নিম্ন আদালতে পাঠানো হয় ঐ মুহূর্ত থেকে নয় (39 Cr.LJ 987)

একজন আইনজীবী তার মক্কেলের মুখপাত্র নয়। তার দায়িত্ব খুবই মারাত্মক প্রকৃতির। সত্যতা যাচাই করতে ব্যবস্থা না নিয়ে মক্কেলের নির্দেশ অনুযায়ী কার্য করা একজন আইনজীবির জন্য পেশাগত অসদাচরণ। ফৌজদারী হস্তান্তরের সমস্ত ভিত্তি এই যে, অভিযুক্তের এই মর্মে যুক্তিসঙ্গত আশংকা থাকতে হবে যে, তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে হস্তান্তরের নির্দেশ ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকের মনে প্রকৃতই কোন পক্ষ পাতিত্বের ঝোঁক আছে কিনা সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আদালত কেবল প্রয়োজনীয় বলেই মনে করে না বরং অভিযুক্ত ন্যায় ও পক্ষপাতিত্বহীন বিচার পাবেন না এই মর্মে তার মনে যুক্তিসঙ্গত কোন আশংকা আছে কিনা তাও আদালতকে বিবেচনা করতে হয় (48 Cr.LJ 721) |

পেটি কেস নিষ্পত্তিতে সংঘটিত অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হস্তান্তরের একটি উত্তম কারণ। সুবিধা ও দ্রুততা এমন বিষয় যা মামলার বিচারে বিবেচনা করা দরকার এটা যেমন সত্য তেমনি মনে রাখতে হবে যে, ন্যায়বিচার করতে হবে এবং দ্রুততারপ্রয়োজনে অভিযুক্তকে তার সমর্থনে সাক্ষ্য তলব করার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা যাবে না, যদি কার্যধারার প্রারম্ভে অপরাধের অভিযোগ সম্পর্কে তার কোন জ্ঞান না থাকে।

45 DLR 57-বিরুদ্ধ কেস (counter case) কি? যে মামলা এক ঘটনা থেকে উদ্ভূত হয় অথবা ঘটনার সময়, স্থান ও ধরন ও সাক্ষী একই রকমের হয় বা এক মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্য মামলায় অভিযুক্ত হয় এবং বিপরীতক্রমে, তখন বলা যায় যে, একটি মামলা অন্যটির বিরুদ্ধ মামলা। বিরুদ্ধ মামলার বিচার-বিরুদ্ধ মামলাগুলো একই বিচারকের দ্বারা যুগপৎভাবে বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। এমন বিচারের মাধ্যমে আদালত উভয় মামলার সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা করার সুযোগ লাভ করে যা সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার এবং বিপরীত ধর্মী অভিমত এড়ানোর জন্য আবশ্যক।

37 DLR 62-ফৌজদারী মামলা এক আদালত থেকে অন্য আদালতে হস্তান্তরের জন্য ৫২৬খ (৩) ধারার অধীন হাইকোর্ট বিভাগে যাওয়ার পূর্বে আবেদনকারীকে ৫২৬(৩) ধারার অনুশর্তে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী দায়রা জজের নিকট যেতে হবে। ৫২৬খ (৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, ৫২৬ ধারার (৪) হতে (১০) উপধারার বিধানাবলী মামলা হস্তান্তরের আদেশের জন্য দায়রা জজের নিকট দাখিল করা দরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

21 DLR 264 (WP).-আদালত সম্পর্কে অপবাদ দেয়া বা কুৎসা রটনা করা চরমভাবে আদালত অবমাননার শামিল। আইনজীবীদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনকালে অসংলগ্নভাবে ব্যবহৃত ভাষার জন্য আদালত অবমাননার শাস্তি দেয়া যাবে। বিচারকারী জজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এবং ঐ অভিযোগগুলো বস্তুত সঠিক কিনা সে সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হয়ে উক্ত অভিযোগ এনে আইনজীবী আদালত অবমাননার দোষে দোষী। সরল বিশ্বাসে তিনি কার্য না করে থাকলে কোন বিশেষ সুবিধা দাবী করতে পারেন না। আইনজীবীগণ অর্থ প্রদানকারী ব্যক্তিদের কেবল প্রতিনিধি নয় বরং তারা ন্যায়বিচার পরিচালনায় কার্য করে থাকেন।

17 DLR 384 (SC-ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অনুসন্ধানাধীন মামলা হাইকোর্টে হস্তান্তর করা আইনসম্মত নয় (Ref: 17 DLR 34 (SC)]।

17 DLR 233-আশংকা (যুক্তিসঙ্গত আশংকার প্রয়োজন নেই) থাকলে মামলা হস্তান্তরের আদেশ দেয়া যাবে (Ref: 21 DLR 489; 5 DLR 32 (WP)]।

13 DLR 56-অভিযুক্তকে বিচারের মাধ্যমে আদালত একটি সুনির্দিষ্ট অভিমত ব্যক্ত করায় অভিযুক্তকে রিমান্ডে পাঠিয়ে বিচার করা ঠিক নয়।

8 DLR 117 (WP)-এই ধারার অধীনে মুলতবী করা না হলে ধারাটি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যধারা বেআইনী হয়ে যায়।

8 DLR 114 (WP)-কোন মামলায় বিচারিকভাবে লিপিবদ্ধকৃত সাক্ষ্য সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত মতামত একই পক্ষের মধ্যে তার নিকট নিষ্পন্নাধীন আরেকটি মামলা হস্তান্তর করার কোন উপযুক্ত কারণ নয়।